আজ মঙ্গলবার, ১৬ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১লা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

ইয়াছিন জুট স্পিনিং মিলে হামলাকারী সাব্বির গ্রুপ পলাতক!

ইয়াছিন জুট স্পিনিং

ইয়াছিন জুট স্পিনিং

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ফতুল্লাথানাধীন কাশিপুর ইউনিয়নের মধ্য নরসিংপুরস্থ রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান ইয়াছিন জুট স্পিনিং মিলে হামলাকারী সাব্বির গ্রুপের কাউকে এখনো গ্রেফতার করা হয়নি। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন ব্যবসায়ী মহল এবং প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিকরা।

সূত্রে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লাথানাধীন কাশিপুর ইউনিয়নের মধ্য নরসিংপুরে রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান ইয়াছিন জুট স্পিনিং মিল অবস্থিত। যেখানে কর্মরত আছেন প্রায় কয়েক হাজার শ্রমিক। কিন্তু এলাকার কিছু অসাধু লোকের সহযোগীতায় সাব্বির গ্রুপ নামের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ প্রায় সময় এই প্রতিষ্ঠানটির শ্রমিকদের বিভিন্নভাবে নির্যাতন, টাকা পয়সা লুটপাট করতো। এতে প্রতিষ্ঠনের কর্মকর্তরা বাধাঁ দিলে তাদেরও হুমকি ধামকি দিতো।

গত ৬ অক্টোবর রাতে প্রতিষ্ঠানটির দুই শ্রমিক রাজু ও জিসানের রাস্তা আটকে মোবাইল এবং নগদ টাকা হাতিয়ে নেন, এতে বাধা দিতে এগিয়ে আসলে সিকিউরিটি গার্ড আলী আহম্মেদ সহ তিনজনকে এলোপাথারী পিটিয়ে আহত করেন। এবং নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে এলাকাবাসীর কিছু অসাধু লোককে সাথে নিয়ে পরদিন মধ্যেরাতে প্রতিষ্ঠানটিতে হামলা চালায় সেই সন্ত্রাসী গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ক্ষতি সাধন এবং লুটপাটের পরও না থেমে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন। এতে শঙ্কিত প্রতিষ্ঠানটি মালিক হাজী আব্দুল মালেক।

ইয়াসিন জুট স্পিনিং মিলস লিমিটেডের মালিক হাজী আব্দুল মালেক নিজের প্রতিষ্ঠানটি নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ ও অভিযোগ করে বলেন, আমার এই জুট স্পিনিং মিলটি রপ্তানীমুখী প্রতিষ্ঠান। এখানে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা কয়েকহাজার লোক কাজ করেন। এই প্রতিষ্ঠানের তৈরিকৃত পন্য দিয়ে বৈদেশিক মুদ্রা এনে দেশকে সহযোগিতা করতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মনে করি। কিন্তু কিছু অসাধু সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোকদের কারনে আমার এই প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হবার উপক্রম হয়েছে। বিভিন্ন সময় আমার প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের নানাভাবে নির্যাতন। হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। আমি প্রশাসনের কাছে সহযোগীতা ছাড়া এখন আর কোন উপায় দেখছি না।

এই বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়, যার নং ১৮ তাঃ- ৮ অক্টোবর। মামলার আয়ু সাব ইন্সেপেক্টর আশাদুর রহমান এই বিষয়ে জানান, এজাহারভুক্ত আসামীরা পলাকত রয়েছে। আর হামলার সাথে জড়িতদের আমরা তদন্ত সাপেক্ষে সনাক্ত করার চেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছি। এজাহার ভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত থাকবে।

মামলার এজাহার ভুক্ত আসামীরা হচ্ছেন সাব্বির গ্রুপের প্রধান সাব্বির ঐ এলাকার শাহাবদ্দিন মিয়ার ছেলে, সোহবার মিয়ার ছেলে মোঃ সোহান (২৭), মাহমুদ আলীর ছেলে আল-আমিন (২৬), আবুল’র ছেলে মোঃ ফারুক (২৭), মাহফুজুর রহমানের ছেলে মোঃ বক্কর (২৮)।